হিসাব মহনিয়ন্ত্রক (সিজিএ) কার্যালয়ে বর্ণাঢ্য ও যথাযথ মর্যাদায় আজ শেখ রাসেল দিবস ২০২২ পালিত হয়। শেখ রাসেল দিবস ২০২২ পালন উপলক্ষে দিবসের কর্মসূচীর অংশ হিসেবে শেখ রাসেল এর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর দিবসটি উপলক্ষে স্বেচ্ছা রক্তদান কর্মসূচি, শেখ রাসেল এর ওপর চিত্র প্রদর্শনী, চিত্রঙ্গকন প্রতিযোগিতা, ডকুমেন্টারি প্রদর্শন এবং আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। শেখ রাসেল এর জন্মবার্ষিকী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন হিসাব মহানিয়ন্ত্রক (সিজিএ) জনাব মোঃ নুরুল ইসলাম। সিজিএ কার্যালয়ের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হিসাব মহানিয়ন্ত্রক আলোচনা সভায় তাঁর বক্তব্যে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গবন্ধু পরিবারের শহিদ সদস্যসহ শিশু সন্তান শেখ রাসেলকে গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে হত্যা করে স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি। এমন নির্মম হত্যাকাণ্ড পৃথিবীতে বিরল ও নজিরবিহীন। সেদিন হত্যাকারীদের কাছ থেকে রক্ষা মেলেনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সর্বকনিষ্ঠ সন্তান শেখ রাসেল এরও। ছোট্ট শিশুকেও হত্যা করে তারা। সেদিন তাঁর বয়স ছিল মাত্র ১১ বছর। ১১ বছর বয়সে নির্মম মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে হয়েছে সম্ভাবনাময় শেখ রাসেলকে। আজ তিনি জীবিত থাকলে, দেশ পরিচালনার ক্ষেত্রে বড় ধরনের ভূমিকা পালন করতেন। আজ সেই শিশু শেখ রাসেল এর জন্মদিন। জাতি আজ তাঁর জন্মদিন স্মরণ করছে হৃদয় থেকে। বাঙালি জাতি একজন তীক্ষ্ণ দূরদৃষ্টিসম্পন্ন শিশুকে হারিয়েছেন। যিনি ছোটবেলা থেকে অনেক গুণাবলি নিয়ে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। নিশ্চয়ই তিনি বড় হয়ে তাঁর গুণাবলির স্বাক্ষর রাখতেন। শেখ রাসেলের মৃত্যুতে আমরা এক অসম্ভব প্রতিভাবান শিশুকে হারিয়েছি। শেখ রাসেল আমাদের আবেগ ও ভালোবাসার নাম। শেখ রাসেল ছোট থেকেই মেধাবী ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্বের অধিকারী ছিলেন। সবকিছুতে একটু ভিন্ন ও তীক্ষ্ণভাবে চিন্তা করতেন। কারণ, তিনি ছিলেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি ও আমাদের জাতির পিতার সর্বকনিষ্ঠ সন্তান। শেখ রাসেল এর শরীরের প্রতিটি শিরায় বহমান ছিল সুন্দর আচরণ, মানবতা ও মমত্ববোধ। ফলে খুব দ্রুতই অন্য শিশুরা তার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে যেতেন। শেখ রাসেলের শিশুকালের ব্যক্তিত্ব, মানবতাবোধ, উপস্থিত বুদ্ধি, দূরদৃষ্টি ও নেতৃত্ব গুণসম্পন্ন বিষয়গুলো বাঙালি জাতিসহ বিশ্বের সব শিশুর মাঝে ছড়িয়ে পড়ুক। এটি হলে দেশ, জাতি ও বিশ্বের মঙ্গল হবে। বিশ্ব একটি সুন্দর, মেধাবী ভবিষ্যৎ পাবে। শেখ রাসেল আজ বাংলাদেশের প্রতিটি শিশু-কিশোর, তরুণ, শুভবুদ্ধিবোধ সম্পন্ন প্রতিটি মানুষের কাছে একটি আদর্শ ও ভালোবাসার নাম। অবহেলিত, পশ্চাৎপদ, অধিকার বঞ্চিত শিশু-কিশোরদের আলোকিত জীবন গড়ার প্রতীক হয়ে গ্রাম থেকে শহর তথা বাংলাদেশের প্রতিটি লোকালয়ে আরোও ছড়িয়ে পড়ুক। এটাই জাতির প্রত্যাশা। শেখ রাসেল এর জন্মদিনে আমরা জানাই গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি। আলোচনা সভা শেষে বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ সন্তান শেখ রাসেল সহ তাঁর পরিবারের সকল শহীদের আত্মার মাগফিরাত ও দেশের সুখ শান্তি,সমৃদ্ধিসহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু ও সফলতা কামনা করে মোনাজাত করা হয়।